ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম গণহত্যা শুরম্ন হয়েছে বাংলাদেশে। আলস্নামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসি দেওয়ার রায় ঘোষণার আগেই এই গণহত্যা বা জেনোসাইড শুরম্ন হয়েছিল। ফেব্রম্নয়ারি মাসের ৫ তারিখে নাসিত্মক-মুরতাদ শাহবাগীরা আদালতের নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে শাহবাগ চত্বরে ফাঁসির দাবীতে নর্তন কুর্দন শুরম্ন করে। দেশব্যাপী ১৬ কোটি মানুষের সমর্থন হারিয়ে সরকারের শেষ ভরসা এখন শাহবাগের কতিপয় মুসলিম বিরোধী বস্নগার। তাদেরকে খুশী করতে গিয়ে ইসলামপ্রিয় জনগণকে পাখি শিকারের মত গুলী করে মারছে সরকারি বাহিনীসমূহ। গত ২৮ তারিখ পর্যমত্ম শেখ হাসিনা হত্যা করেছেন ৬৮ জনবনি আদমকে। ইসলামী জনগণের বিরম্নদ্ধে অস্ত্রধারণ করেছে একটি সম্মিলিত বাহিনী। সেই বাহিনীর অঙ্গীভূত হয়েছে সাবেক বি ডি আর এবং বর্তমান বর্ডার গার্ড বা বি জি বি, র্যাব, পুলিশ, আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর যুব লীগ ও ছাত্র লীগের সশস্ত্র ক্যাডার এবং সদ্য গজিয়ে ওঠা নাসিত্মক-মুরতাদদের শাহবাগী ক্যাডার। এই সম্মিলিত বাহিনীর কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি কোণায়, প্রতিটি পাড়ায়-মহলস্নায় প্রতিবাদী কণ্ঠ সত্মব্ধ করে দেওয়া। খেলাফত মজলিসের চেয়ারম্যান মাওলানা আহম্মদ উলস্নাহ আশরাফ বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই হাত এখন ইসলামী বিপ্লবীরা খুনে রঞ্জিত।
গত ২৮ ফেব্রম্নয়ারি বেলা ২টায় বিশ্ববিখ্যাত মুফাস্সিরে কোরআন আলস্নামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ ঘোষিত হওয়ার সাথে সাথেই সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ দেশের আনাচে-কানাচে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সরকারী বাহিনীসমূহ। তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বেলা ২টা থেকে রাত্রি ১১টা অর্থাৎ মাত্র ৯ ঘণ্টার মধ্যে সারা বাংলাদেশে পুলিশ, র্যাব, বর্ডার গার্ড এবং আওয়ামী ক্যাডারদের সম্মিলিত সশস্ত্র হামলায় ৭০ জন আদম সমত্মান শাহাদাত বরণ করেন। বিএনপি’র মহাসচিব মমত্মব্য করেছেন, ‘‘রক্ত পিপাসু সরকারের নৃশংস গণহত্যা ’৭১ এর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে।’’ অথচ এই অঝোর ধারায় রক্তপাত ঘটিয়েছে সরকার সুপরিকল্পিতভাবে। বিরোধীদলীয় একাধিক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মতে আওয়ামী সরকারের এই রক্ত পিপাসা চেঙ্গিস খান ও হালাকু খানের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘৃণিত ডিক্টেটর হিটলার অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছিলেন। সেই হত্যাকা- চরমভাবে ঘৃণিত ও ধিকৃত। কিন্তু সেই হত্যাকা-ও সংঘটিত হয়েছিল একটি বিশ্বযুদ্ধের মধ্যদিয়ে। সাম্প্রতিককালে এই উপমহাদেশে গণহত্যার ঘৃণিত নায়ক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছেন জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিসত্মান বাহিনী পূর্ব বাংলার মানুষের কাছে হয়ে ওঠে বিদেশী বাহিনী। সেই বিদেশী বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেটি ছিল একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপট। কিন্তু গত ২৮শে ফেব্রম্নয়ারী আওয়ামী সরকারের বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিরস্ত্র বাংলাদেশীদের ওপর। এরা কেউই পরদেশী নয়। র্যাব, পুলিশ, বর্ডার গার্ড- তারাও বাংলাদেশী, আবার প্রতিবাদী ও বিক্ষোভকারীও বাংলাদেশী।
http://www.facebook.com/photo.php?v=497504290306418&set=vb.384433844978567&type=2&theater
\ দুই \
গত ২৮শে ফেব্রম্নয়ারী থেকে যেটি ঘটছে সেটি হলো গণঅভ্যুত্থানের পদধ্বনি। আলস্নামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণার পর জনগণকে সংগঠিত করার সময়ও পায়নি জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির। প্রথম গণহত্যার খবর আসে রংপুরের মিঠাপুকুর থেকে। রেডিও এবং টেলিভিশনে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদ--র রায় ঘোষিত হওয়ার সাথে সাথেই হাজার হাজার গ্রামবাসী প্রতিবাদে লাঠিসোঁটা নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে মফস্বলের একটি এলাকায় অমত্মত ৫ হাজার লোকের জমায়েত হওয়া কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এই হাজার হাজার লোকই ছিল নিরস্ত্র। প্রাণের তাগিদে, মাওলানা সাঈদীর প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসার তাগিদে তারা ঘর থেকে রাসত্মায় বেরিয়ে এসেছিল। তাদের প্রতিবাদ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। তারা কেউ পুলিশ র্যাব বা বিজিবি’র ওপর আক্রমণ চালায়নি। তারা চেয়েছিলেন মিছিল নিয়ে শহর প্রদÿÿণ করতে। কিন্তু আওয়ামী সরকার ÿমতা গ্রহণের পর প্রথমদিন থেকেই একটি চ-নীতি অনুসরণ করে আসছে। আর সেটি হলো বিরোধী দলকে বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ঘর থেকে বের হতে না দেওয়া। ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেও হাসিনার সরকার জামায়াতে ইসলামীকে আবদ্ধ থাকতে দিচ্ছে না। ঘরের মধ্যে ঢুকেও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী জামায়াত শিবির কর্মীদেরকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আলোচ্য বিচার এবং রায়ের ÿÿত্রেও দ্বৈত ভূমিকায় নেমেছে আওয়ামী সরকার। মাওলানা আবুল কালাম আজাদের ফাঁসির রায় যখন ঘোষিত হয় তখন আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-শান্ত্রী এবং উপনেতারা উলস্নাসে ফেটে পড়েন। তারা বলেন যে ফাঁসির আদেশের মাধ্যমে নাকি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় রায় অর্থাৎ আব্দুল কাদের মোলস্নার রায়ে তাকে যখন দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদ- তখনই মহা বেজার হয় আওয়ামী লীগ। মৃত্যুদ- না হয়ে যাবজ্জীবন হলো কেন? তারা এই যাবজ্জীবন মানে না, তারা ফাঁসি চায়। সেই দাবীতে ৫ ফেব্রম্নয়ারী থেকে মাঠে নামানো হয় শাহবাগীদেরকে। পরের ইতিহাস এতই সাম্প্রতিক যে সেটি সকলেরই জানা। শাহবাগীদের একটিই দাবী। সেটি হলো তারা বিচার মানে, কিন্তু তাল গাছটি তাদের। অর্থাৎ তারা বিচার মানে, কিন্তু সেই বিচারে অভিযুক্তদেরকে ফাঁসি দিতেই হবে। ফাঁসি ছাড়া আর কোনো রায় তারা মানে না। শাহবাগে লাগাতার অবস্থান এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ফাঁসির দাবী উত্থাপনের পটভূমিতে গত ২৮ ফেব্রম্নয়ারী বিচারপতি ফজলে কবিরের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছেন। যেহেতু এটি ফাঁসির রায় তাই আওয়ামী ঘরানা ও তাদের শাহবাগী অনুসারীরা মহা খুশী। এইবার নাকি ন্যায় বিচার হয়েছে।
তিন
আসলেই কি ন্যায় বিচার হয়েছে? ব্যারিস্টার রাজ্জাক কিন্তু বলছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। এমনকি এটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলমও জানিয়েছেন যে, আলস্নামা সাঈদীর বিরম্নদ্ধে ২০টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১২টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি এবং এসব অভিযোগ থেকে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। অবশিষ্ট ৮টি অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যসত্ম হয়েছেন। এর মধ্যে দুইটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে। এই দু’টি অভিযোগের একটি হলো এই যে তিনি নাকি বিশা বালি নামক এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন। এই ব্যাপারে বিশা বালির আপন ভাই সুখরঞ্জন বালি সাÿী দেওয়ার জন্য আদালত প্রাঙ্গণে এসেছিলেন। তিনি আদালতকে এই কথা বলতে এসেছিলেন যে তার ভাই বিশা বালির হত্যার সাথে মাওলানা সাঈদী কোনোভাবেই জড়িত নন। বিশা বালির ভাই সুখরঞ্জন বালিকে সাÿী দিতে দেওয়া হয়নি। সুখরঞ্জন বালিকে ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। এখন পর্যমত্ম সুখরঞ্জন বালি কি বেঁচে আছেন নাকি মরে গেছেন সে কথাও কেউ জানে না। মাওলানা সাঈদীকে অপর যে অভিযোগে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে সেটি হলো ইব্রাহিম কুট্টির হত্যাকা-। ১৯৭২ সালে ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম তার স্বামী হত্যার দায়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছিলেন। সেই এজহারে মাওলানা সাঈদীর নাম নাই। ইব্রাহিম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগমের এই এজাহারের কপি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। অথচ তার পরেও মাওলানা সাঈদীকে কেন এবং কি ভাবে মৃত্যুদ- দেওয়া হলো সেটিই হলো বিস্ময়ের ব্যাপার। মি: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আলস্নামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রেকর্ড এতই পরিচ্ছন্ন যে, তাকে মৃত্যুদ- দেওয়াতো দূরের কথা, তাকে এক মিনিটের জন্যও কারাদ- দেওয়া যায়না।
সরকার পক্ষ বলেছে যে তারা যেসব সাক্ষী প্রমাণ হাজির করেছে তার বাইরেও নাকি ১৬ জন সাক্ষী ছিল। এই ১৬ জন সাক্ষী ে নাকি এখন আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই ১৬ জন নিখোঁজ সাক্ষীর একজন হলেন উষারানী মালাকার। উষারানী মালাকারের স্বামী হরলাল মালাকারকে মুক্তিযুদ্ধকালে হত্যা করা হয়। সরকার পক্ষ এই হত্যাকারী সাথে আলস্নামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম যুক্ত করেন। সেই উষারানী মালাকার টেলিভিশনে এক সাক্ষাতকারে জানান যে তার স্বামী হরলাল মালাকারের সাথে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কোনো ভাবেই জড়িত নন। ভগীরথি নামে এক মহিলার সাথে মাওলানা সাঈদীর নাম জড়িত করা হয়। ভগীরথির ছেলে গনেশসাহা আদালতে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট ভাষায় বলেন যে, তার মাকে জড়িয়ে সরকারি প্রসিকিউশন চরম মিথ্যাচার করছে। সরকার পক্ষ প্রচার করেছিল যে ১৬ জন সাক্ষী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু পরবর্তীতে এটি প্রমাণ হয়ে গেছে যে ঐ ১৬ জন সাক্ষীর অধিকাংশকেই সরকারি সেফ হাউসে ৪৫ দিন আটকে রাখা হয়েছিল। তাদেরকে মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। শেষ পর্যমত্ম তারা মিথ্যা সাক্ষী দিতে রাজি না হওয়ায় তাদেরকে অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর প্রমাণ হিসেবে ব্যারিস্টার রাজ্জাক ৫০০ পৃষ্ঠার দলিলপত্র আদালতে উপস্থাপন করেন। কিন্তু প্রাক্তন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এসব অকাট্য প্রমাণপত্র গ্রহণে অস্বীকার করেন।
চার
বাংলাদেশের বিগত ৪১ বছরের ইতিহাসে মাত্র ১ দিনে এতো বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী নাগরিক পুলিশী গুলীতে প্রাণ হারাননি। মানুষ জানে না যে, এইভাবে পাখি শিকার করার মতো গুলী বর্ষণের নির্দেশ পুলিশের ওপর সরকারের ছিল কি না। কিন্তু পুলিশের আচরণ এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজে মনে হয়েছে যে, ওরা যেন দল বিশেষের ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে। সবচেয়ে অবাক হতে হয় তখন, যখন দেখা যায় যে এই অসংখ্য তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যাওয়াকে মিডিয়া, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এক শ্রেণীর কর্মী জাস্টিফাই করছে। বিশিষ্ট লেখক এবং গবেষক ফরহাদ মাজহার আক্ষেপ করে বলেছেন যে, টিভি টকশো’র এক শ্রেণীর এ্যাঙ্কর বা সঞ্চালক রীতিমতো পলিটিক্যাল এ্যাক্টিভিস্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন । কিন্তু সরকার কিভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে? দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, এই সরকারের একটি অংশের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করা বা ছড়ানোর অশুভ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। জাতির জন্য এটা অত্যমত্ম দুর্ভাগ্যের ব্যাপার যে, রাজনীতিতে বিরোধিতার নামে প্রচ- হিংসা ছড়ানো হচ্ছে। খতম কর, জবাই কর, মানুষ ধরে সকাল বিকাল নাসত্মা কর, ইত্যাদি চরম উস্কানিমূলক এবং হিংসাত্মক কথাবার্তা সভায়, মিছিলে এবং সেস্নাগানে উচচারিত হচেছ। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কয়েকদিন আগে বলেছেন যে, শাহবাগের এই সমাবেশ যদি কয়েকদিন আগে হতো তাহলে কাদের মোলস্নার রায় ভিনণরকম হতে পারতো। এই ধরনের উস্কানিমূলক কথার পটভূমিতে ফরহাদ মাজহার বলেন যে, এসব বিচার-আচারের নাটক বাদ দিয়ে কাঠগড়া থেকে এদের ধরে এনে ফাঁসি দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। মানুষ কতখানি অতিষ্ঠ হলে এমন কথা বলতে পারেন, সেটি ভাবার সময় এসেছে।
এই লেখা যখন শেষ করছি তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদত্ত ভাষণের কপি পেলাম। ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সত্মম্ভিত। আমি ক্ষুব্দ। আমি গভীরভাবে মর্মাহত। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাবার কোনো ভাষা আমার নেই। আমাদের এই দেশে আবার চলছে পৈশাচিক গণহত্যা। পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা চলছে। গণহত্যার পৈশাচিক তা-বে মেতে উঠেছে সরকার। ফ্যাসিবাদের নগ্ন থাবার রক্ত ঝরছে, প্রাণ যাচ্ছে দেশের শামিত্মপ্রিয় নিরস্ত্র নাগরিকদের। বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর এমনকি কুলবধূরা পর্যমত্ম রেহাই পাচ্ছে না এই নির্মম হত্যাকা- থেকে। মনে হচ্ছে, কোনো ভিনদেশী হানাদারেরা যেন বাংলাদেশের মানুষের উপর পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। কোনো একটি সরকার নিজের দেশের নাগরিকদের উপর এমনভাবে গণহত্যা চালাতে পারে, তা আমাদের কল্পনারও অতীত। এধরনের গণহত্যার বিরম্নদ্ধে দাঁড়িয়েই আমরা ১৯৭১ সালে মাতৃভূমিকে স্বাধীন করেছিলাম। সেই স্বাধীন দেশে আবার অন্য কোনো অজুহাতে কখনো কোনো সরকার গণহত্যার পথ বেছে নেবে তা আমরা মেনে নিতে পারি না।
এই গণহত্যার বিরম্নদ্ধে রম্নখে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে জনগণকে রাজপথে নেমে আসার জন্য উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
email: asifarsalan15@ gmail.com
No comments:
Post a Comment