বলবো বলবো করেও বলা হয়নি, কিন্তু পুলিশ হত্যা সম্পর্কে কিছু কথা বলতেই হচ্ছে।
যারা কোন সামরিক বা আধা সামরিক বাহিনীতে চাকুরী করেন, তারা তাদের উপরের কমাণ্ডের নির্দেশেই পরিচালিত হন, এজন্যই আমরা দেখি স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ্যে গুলি করার নির্দেশনা দিলেও কিন্তু দেশের সব জায়গাতে পুলিশের আচরণ একরকম নয়। একজন সৈনিক লেভেলের কর্মচারী তাদের কর্মকর্তা দ্বারা সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রিত হন। বাহিনীগুলোতে সবচেয়ে বড় আইন হলো উর্ধতন কমান্ডারের আদেশ বিনা বাক্য ব্যয়ে right-a-way পালন করা, অন্যথায় discipline ভঙ্গের দায়ে তারা নিশ্চিতভাবে দন্ডিত হন। আরো দু'একটা ব্যাপার আমাদের জানা থাকা জরুরী, যে তারা চাকুরীর শুরুতে ধর্মীয় গ্রন্থ ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেন আদেশ অমান্য না করার। "কেন করবো" এই প্রশ্ন তাদের অভিধানে নেই। অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পর্ক দিয়ে কোন বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পর্কের ব্যাপারটা বুঝা যাবে না। এবং চাকুরী করার কারণে তারা তাদের উর্ধতন কর্মকর্তার তথা সরকারের আদেশ মানতে সম্পূর্ণরূপে বাধ্য।
উপরের বিষয়গুলোর অবতারণা করার কারণ হলো যেন আমরা তাদের অসহায় অবস্থাটাও বুঝতে পারি। তাদের সাথে জনগণের সংঘর্ষে তারা আহত হতেই পারে এটা স্বাভাবিক, তবে মেরে ফেলার নিয়্যতে বা উদ্দেশ্যে তাদেরকে আঘাত করা হলে সেটা হবে অন্যায়। একজন সৈনিক সে যতই আপনার বিরোধী হোক না কেন উপরের নির্দেশ ব্যতিরেকে সে আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তার উপরের কমান্ড ঠিক হয়ে গেলে সে ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে খুন করার যতই ইচ্ছা মনে পোষন করুক না কেন, সেই একই সৈনিক, আপনাকে রক্ষা করার কাজই করবে। একই ছুরি দিয়ে মানুষ খুন করা যায় আবার অস্ত্রপ্রচার করে জীবন রক্ষা করাও যায়। ছুরি কে ব্যবহার করছে তার উপর নির্ভর করে- প্রাণহরণ করা হবে না প্রাণরক্ষা করা হবে।
লেখক : পারবিন রোখসানা (ফেসবুক থেকে নেয়া লিংক Roksana Parveen)
No comments:
Post a Comment