নিউ ইয়র্কে শানে রিসালাত সম্মেলনে আলেমরা
রাষ্ট্রের মধ্যে বিভক্তকারীরাই ইসলাম ও স্বাধীনতার শত্রু
নিউ ইয়র্ক : নিউ ইয়র্কে শানে রিসালাত সম্মেলনে আলেমরা বলেন, ইসলাম ধর্ম ও নবী করিম (সাঃ) কে অপমান করলে কোন মুসলমান চুপ থাকতে পারেনা। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে কটাক্ষকারী মুরতাদদের প্রতিরোধ করা ঈমানী দায়িত্ব। তারা বলেন, সরকার মুখে ইসলামের কথা বলে, কিন্তু কাজ কর্মে মুরতাদদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
সরকার ইসলামের পক্ষে হলে অবশ্যই মুরতাদদের বিচার নিশ্চত করে তা প্রমাণ করতে হবে।
সরকার ইসলামের পক্ষে হলে অবশ্যই মুরতাদদের বিচার নিশ্চত করে তা প্রমাণ করতে হবে।
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের মদিনা মসজিদে আয়োজিত সম্মেলনে আলেমরা এসব কথা বলেন। ৩১ মার্চ রোববার নিউ ইয়র্কের সম্মিলিত উলামা, ইমাম ও মুফতিগণ এ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সম্মেলনে আলেমরা বলেন, বাংলাদেশে ইসলাম ও নবী রাসূল (সাঃ) কথা বললে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। রাসূল (সাঃ) এর বিরুদ্ধে কটাক্ষের প্রতিবাদ করলে পুলিশের গুলি খেয়ে মরতে হয়। অপরদিকে ইসলাম ও রাসূল (সাঃ) কে অপমানকারীরা সরকারের কাছে প্রিয়। তাদেরকে সরকার সকল সুযোগ সুবিদা দিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে।
আলেমরা বলেন, বাংলাদেশে দাড়ি টুপি ও নামাজ পড়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ইসলাম প্রিয় মানুষকে হামলা, মামলা ও খুন করে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর মধ্যেও নামাজি ব্যক্তিদের উপর সরকার নজরদারি চলছে। যার কারণে সরকারী চাকরীজীবি অনেকে নামাজ পড়তেও ভয় পাচ্ছেন। সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম রাষ্ট্রে ধর্ম পালনে বাঁধা সহ্য করা যায়না।
তারা আরো বলেন, আলেমরা আওয়ামী লীগের সূত্র না, আবার বিএনপি জামায়াতের বন্ধুও না। আমরা ইসলাম ও রাসূল (সাঃ) কে কটাক্ষকারী মুরতাদদের বিপক্ষে। মুরতাদরা মুসলমানের শত্রু।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আলেমরা বলেন, আপনার পিতাকে কাটাক্ষ করলে আপনার সহ্য হয়না, অথচ মুসলিম জাহানের নয়নের মনি আল্রাহর রাসূল (সাঃ) কে অপমানকারীদের পক্ষ নিয়েছেন।
আলেমরা বলেন, বাংলাদেশে দাড়ি টুপি ও নামাজ পড়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ইসলাম প্রিয় মানুষকে হামলা, মামলা ও খুন করে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর মধ্যেও নামাজি ব্যক্তিদের উপর সরকার নজরদারি চলছে। যার কারণে সরকারী চাকরীজীবি অনেকে নামাজ পড়তেও ভয় পাচ্ছেন। সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম রাষ্ট্রে ধর্ম পালনে বাঁধা সহ্য করা যায়না।
তারা আরো বলেন, আলেমরা আওয়ামী লীগের সূত্র না, আবার বিএনপি জামায়াতের বন্ধুও না। আমরা ইসলাম ও রাসূল (সাঃ) কে কটাক্ষকারী মুরতাদদের বিপক্ষে। মুরতাদরা মুসলমানের শত্রু।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আলেমরা বলেন, আপনার পিতাকে কাটাক্ষ করলে আপনার সহ্য হয়না, অথচ মুসলিম জাহানের নয়নের মনি আল্রাহর রাসূল (সাঃ) কে অপমানকারীদের পক্ষ নিয়েছেন।
মুরতাদদের সমর্থনকারীরাও মুরতাদ উল্লেখ করে তারা বলেন, গুটিয়েক তথাকথিত আলেম মুরতাদদের পক্ষ নিয়েছে। এদের মতো চদ্মবেশী মুনাফিক রাসূলের (সাঃ) যুগেও ছিলো। এসব কথিত আলেমদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন তারা।
তারা আরো বলেন, মৃত ব্যক্তির লাশকে যেমন সিল্কের কাপড়ে মড়ির লাভ নেই, তেমনি পুরানো বিষয়কে জীবিত করে জাতিকে বিভক্ত করে লাভ নেই।
ইসলাম ক্ষমা এবং ভ্রাতৃত্বের ধর্ম। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বহু কাফেরেকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালাও পরকালে তার বান্দাদের ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমাদেরও অতীতের ভুল ভ্রান্তি ক্ষমার দৃষ্টি দেখে জাতি বর্ণ নিঃর্বিশেষে দেড় গড়ার কাজে মন দেয়া উচিত।
আমরা তা না করে পুরানো ক্ষতকে নতুন করে চুলকিয়ে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে বিভক্ত করে দেয়া হয়েছে। মূলত রাষ্ট্রের মধ্যে বিভক্তকারীরা ইসলাম ও স্বাধীনতার শত্রু।
ইসলাম ক্ষমা এবং ভ্রাতৃত্বের ধর্ম। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বহু কাফেরেকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালাও পরকালে তার বান্দাদের ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমাদেরও অতীতের ভুল ভ্রান্তি ক্ষমার দৃষ্টি দেখে জাতি বর্ণ নিঃর্বিশেষে দেড় গড়ার কাজে মন দেয়া উচিত।
আমরা তা না করে পুরানো ক্ষতকে নতুন করে চুলকিয়ে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে বিভক্ত করে দেয়া হয়েছে। মূলত রাষ্ট্রের মধ্যে বিভক্তকারীরা ইসলাম ও স্বাধীনতার শত্রু।
তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে ইসলামের বিরুদ্ধে দাড় করে দিয়েছে সরকার। অথচ আলেমরাই সবচেয়ে দেশ প্রেমিক। আলেমরা দুর্নীতি হানাহানি মুক্ত। তারা দেশ, ইসলাম ও মানবতার সেবার সেবা করে যাচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীরকে গণহত্যার নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তারা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খুনী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপসারণ করে দেশের মানুষকে নির্যাতনের হাত থেকে বাচাঁন। এছাড়াও পাঠ্য পুস্তকে ইসলাম ও কুরানকে বিকৃতির জন্য শিক্ষামন্ত্রীর অপসারণ দাবী করেন আলেমরা।
আগামী ৬ এপ্রিলে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের সংঙ্গে একাত্বতা ঘোষণা করে আলেমরা বলেন, লংমার্চে বাঁধা দিলে যে কোন গঠনার জন্য সরকারকে দায় নিতে হবে।
হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফী ঘোষিত হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবী ঐক্যমত পোষণ করেন তারা। সম্মেলন শেষে আগামী ২৮ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের সকল মসজিদের ইমাম, কমিটি ও মুসল্লিদের নিয়ে মত বিনিময় সভার ঘোষণা দেন ওলামা ইউএস’র সভাপতি মাওলানা রফিক আহমেদ।
শানে রিসালাত সম্মেলনে বায়তুল হামদ’র প্রিন্সিপাল মুফতি জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন দারুল সুন্নাহ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতী রুহুল আমীন। সম্মেলন পরিচালনা করেন বায়তুশ শরাফ মসজিদের ইমাম মাওলানা জাকারিয়া মাহমুদ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুফতি আবদুল মালেক, হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম, মুফতি লুৎফুর রহমান ক্বাসেমী, মাওলানা রফিক আহমেদ, মাওলানা আবু সুফিয়ান,মাওলানা আজিরুদ্দিন, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, মাওলানা আব্দুর রহমান, হাফিজ আব্দুল্লাহ আল কাফি, হাফেজ রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আবু সায়ীদ, মাওলানা ওবায়দুল হক, হাফিজ বুরহান উদ্দিন, শাকিল রহমান, জুলফিকুল চৌধুরী, হাফিজ আব্দুল মতিন, মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা আসাদ, হাফেজ মাহবুব, মাওলানা ইব্রাহিম, হাফিজ আব্দুল মান্নান, ক্বারী খলিলুর রহমান, হাফিজ মাহবুবুর রহমান, মাওলানা ইলিয়াস, ডা. জুন্নুন। সম্মেলনের শুরুতে কোরান তেলওয়াত করেন মুহাম্মদ তানিম।
হযরত আল্লামা শাহ আহমদ শফী ঘোষিত হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবী ঐক্যমত পোষণ করেন তারা। সম্মেলন শেষে আগামী ২৮ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের সকল মসজিদের ইমাম, কমিটি ও মুসল্লিদের নিয়ে মত বিনিময় সভার ঘোষণা দেন ওলামা ইউএস’র সভাপতি মাওলানা রফিক আহমেদ।
শানে রিসালাত সম্মেলনে বায়তুল হামদ’র প্রিন্সিপাল মুফতি জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন দারুল সুন্নাহ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতী রুহুল আমীন। সম্মেলন পরিচালনা করেন বায়তুশ শরাফ মসজিদের ইমাম মাওলানা জাকারিয়া মাহমুদ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুফতি আবদুল মালেক, হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম, মুফতি লুৎফুর রহমান ক্বাসেমী, মাওলানা রফিক আহমেদ, মাওলানা আবু সুফিয়ান,মাওলানা আজিরুদ্দিন, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, মাওলানা আব্দুর রহমান, হাফিজ আব্দুল্লাহ আল কাফি, হাফেজ রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আবু সায়ীদ, মাওলানা ওবায়দুল হক, হাফিজ বুরহান উদ্দিন, শাকিল রহমান, জুলফিকুল চৌধুরী, হাফিজ আব্দুল মতিন, মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম মাদানী, মাওলানা আসাদ, হাফেজ মাহবুব, মাওলানা ইব্রাহিম, হাফিজ আব্দুল মান্নান, ক্বারী খলিলুর রহমান, হাফিজ মাহবুবুর রহমান, মাওলানা ইলিয়াস, ডা. জুন্নুন। সম্মেলনের শুরুতে কোরান তেলওয়াত করেন মুহাম্মদ তানিম।
No comments:
Post a Comment