১৩ মার্চ বুধবার নিউ ইয়র্কের কস্যুলেট অফিসে আমেরিকানস ইউনাইটেড ফর হিউম্যান রাইটসের করডিনেটর মুবাশ্বির আহমেদ ও মজলিসে শূরা জাস্টিজের চেয়ারম্যান ইমাম আইয়ুব আব্দুল বাকী কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলামের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ স্মারকলিপি পেশ করেন। এ সময় তারা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নির্বিচারে হত্যা ও মানবাধিকার লংঘনের চিত্র সংকলিত ডুকুমেন্ট কনসাল জেনারেলের হাতে তুলে দেন।
এছাড়াও আমেরিকানস ইউনাইটেড ফর হিউম্যান রাইটস নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে কনস্যুলেট অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভে আমেরিকান মুসলিম ছাড়াও বাংলাদেশী আমেরিকানরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত একটি বিতর্কিত ট্রাইবুনালের কারণে বাংলাদেশে সংঘাতময় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সরকার বিরোধী শক্তিকে দমন করার জন্য গণহত্যা চালাচ্ছে। অন্যদিকে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটে চলেছে। সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে বিরোধী শক্তির উপর দায় চাপিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে। সরকারের প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার কার্যকরী প্রদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান নেতারা।
বিক্ষোভে ইমাম আইয়ুব আব্দুল বাকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, মুবাশ্বির আহমেদ, প্রফেসর কাজী মোঃ ইসমাঈল, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, মাওলানা নায়েব আলী, শাহানা মাসুম, ডা. আজিজুল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ রেজা, ফখরুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, মনির হোসেন, রোজিনা সুলতানা, ইসমত আরা ফজিলা ও রাসেদুজ্জামান প্রমুখ। পরিচালানা করেন মঞ্জুর আহমেদ।
আইয়ুব আব্দুল বাকী বলেন, ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের ঘটিত ট্রাইবুনালের মাধ্যমে বিচারের নামে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। ইতিমধ্যে ট্রাইবুনালের বিচার কার্যের ত্রুটি সমূহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ বাংলাদেশের মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়েছে। ট্রাইবুনালের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রধান প্রধান মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রশ্ন তুলেছে। এরপরও বাংলাদেশ সরকার বিতর্কিত ট্রাইবুনালের মাধ্যমে বিচার কার্য পরিচালনা করার কারণে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়া মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ফাসিঁর রায় দিয়েছে ট্রাইবুনাল। রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্দ জনতাকে সরকার সর্মথকদের সহযোগিতায় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বহিনী ৭০ জনকে গুলি করে হত্যা ও হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে শতাধিক লোক সরকারী বাহিনীর হাতে হত্যার শিকার হয়েছে। এসব বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও নির্যাতন সুস্পষ্ট মানবাধিকার লংঘন।
মুবাশ্বির আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর রিপোর্টে বাংলদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও নীরিহ মানুষকে নির্যাতনের দৃশ্য এবং হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র উঠেছে এসেছে। কোন গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে বিশ্ববাসী এধরণের গণহত্যা প্রত্যাশা করেনা।
বাংলাদেশে বিরোধী শক্তিকে কোন প্রকার গণতান্ত্রিক অধিকার দিচ্ছেনা তি্িন আরো বলেন, দেশের বিরোধী শক্তির ৫০ হাজার নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। বাংলাদেশে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে হত্যা, নির্যাতন, গ্রেফতার প্রমাণ করে সরকার মানবাধিকার লংঘন করছে।
তিনি বলেন, আমরা মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের গঠিত ট্রাইবুনালের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে ইসলামী চিন্তাবিদদের বিরুদ্ধে বিচার করা হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, মাওলানা সাঈদী, কাদের মোল্লা ও আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে রায় দেয়া হয়েছে। অবিলম্ভে গ্রেফতারকৃত সকল ইসলামী নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবী করেন তিনি।
প্রোগ্রামের ভিডিও দেখুন:
https://www.youtube.com/watch?v=LCUvrxfa2oA
No comments:
Post a Comment