ইয়াহিয়া খানের পথ সর্বনাশা পথ !
সাঈদ তারেক
যাই মনে করুন চারদিকে যা দেখছি তাতে একাত্তুরের ইয়াহিয়া সরকারের সাথে বর্তমানের আওয়ামী সরকারের কাজে কর্মের খুব একটা অমিল খূঁজে পাচ্ছিনা। সেদিন আমরা ছিলাম তরুন প্রজন্ম। আমাদের একটি অংশ যুদ্ধে, বড় অংশটি সড়াসড়ি ফিল্ডে না থাকলেও নেপথ্যে থেকে যুদ্ধের সহায়তা করে চলেছে। দ্রত একটি অংশ সরকারি বাহিনীর প্রটেকশনে থেকে বিরিয়ানি মুরগী মোসাল্লাম সহযোগে ‘স্বাধীনতার’ (পাকিস্তানের) চেরাগ জ্বালিয়ে যাচ্ছে।
সারা দেশের মানুষ কোন পে সেদিন ইয়াহিয়া বুঝতে পারে নাই, আজও মনে হচ্ছে না এরা বুঝতে পারছে। তখন পত্র পত্রিকা রেডিও খুললে (সে সময় টিভি শুধু মুষ্ঠিমেয় কয়েকজনের বাসায়) শুধু হুংকার, মার দেঙ্গে তোড় দেঙ্গে কুচাল দেঙ্গে মিটা দেঙ্গে। আজও চারিদিকে একই আওয়াজ। শুধু ভাষা বদলেছে, হত্যা করো জবাই করো, কঠোর হস্তে দমন করা হবে সহ্য করা হবেনা নির্মূল করা হবে ধ্বংশ করা হবে। এই তোড় দেঙ্গে মিটা দেঙ্গে করতে করতে সেদিন ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানকেই মিটিয়ে দিয়ে গেছে আজ ‘ধ্বংশ করা হবে’ করতে করতে এরা দেশেরই বারোটা বাজাতে চলেছে।
দুনিয়ার তাবৎ স্বৈরাচারদের জন্য ইয়াহিয়া এতবড় একটা শিক্ষ রেখে গেলো তারপরও যদি কেউ ইতিহাসের সেই সর্বনাশা পথটিই আঁকড়ে ধরে তাকে কি বলা যেতে পারে! মানুষ তো অমর নয়, একদিন সবাইকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। তেমনি মতাও তো চিরস্খায়ী নয়, একদিন ছাড়তেই হবে, দু’দিন আগে বা পরে।
এই ক্ষমতার জন্য এত কিছু করতে হবে! আমাদের দেশে রাজনীতিকরা ক্ষমতায় আসে চুরি বাটপারি করে আখের গোছানোর জন্য। হয়েছে তো! এক টার্ম কি যথেষ্ট নয়! পরের টার্মের লাইসেন্সও পাওয়া যায় যদি আমলনামা ভাল থাকে। চারটা বছর ধরে শুধু ধর মার কাট না করে একটু সভ্যভাবে চললে হতো না! আমাদের কাছে তো যাহা বাহান্ন তাহা তেপ্পান্ন, যাহা আওয়ামী লীগ তাহা বিএনপি।
পাঁচ বছর এরা পাঁচ বছর ওরা এই চিরস্থায়ী বন্দোবস্তটা তো আমরা মেনেই নিয়েছি। বিশ বছর চললো এভাবে এই বেলা এসে মানিনা বললে অন্যে মানবে কেন!
গন্ডগোলটা বেঁধেছে এইখানে এসে। এবার এসে ঠিক করে ফেললো আর যাবো না। আদালতকে দিয়ে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল আদালতের দোহাই দেয় তত্বাবধায়ক বাতিল মূল প্রতিপ বিএনপিকে কাবু রাখতে জামাত নিধন যজ্ঞ- টার্গেট ওইটাই, মাঠে প্রতিপ যাতে কেউ না থাকে। নির্বাচনের একটা মকশো করিয়ে বসে পড়া যায় পরের পাঁচ বছরের জন্য। গোমড় কথা এইটা, বাদ বাকি- জঞ্জাল সাফ চেতনা প্রজন্ম জাগরন সব বকোয়াচ, ভূয়া কথা। পাবলিককে চকমা দেয়া, একটা ঘোরের মধ্যে ফেলে রেখে মতলব হাসিল করা।
এত দিন ধরে নানা প্রচার প্রচারণায় মানুষ মোটামুটি কনভিন্সড জামাতে ইসলামিকে ধ্বংশ করা দিল্লীর টার্গেট। ভারতের প্রধানমন্ত্রীই এক সময় বলেছেন ‘জামাত ভারতবিরোধী’। এটা যেমন মনে করা হয় গুরুত্বপূর্ণ এবং নীতি নির্দ্ধারণী সিদ্ধান্তগুলো আসে দিল্লী থেকে তেমনি এটাও সবাই ধরে নিয়েছে জামাতকে ধ্বংশ করার ল্েয যে বর্বরোচিত দমন পীড়ন জামাত শিবির নিষিদ্ধ করার দাবীতে যে আন্দোলন তার পেছনে রয়েছে একটিই ল্য- ‘ভারতবিরোধী’ এই শক্তিটিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।
প্রথম কথা- হত্যা করে পিটিয়ে জেল ফাঁস দিয়ে বা কাগজে কলমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কি কোন রাজনৈতিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যায়? একাত্তুরে ইয়াহিয়া খান কি পেরেছিল! কোন গবেট হয়তো তেড়ে আসবেন ইয়াহিয়া খান যাদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল তারা ছিল মুক্তিযোদ্ধা। আজ সরকার যাদেরকে ধ্বংশ করতে চাইছে তারা কি মুক্তিযোদ্ধা?
না আমি এদেরকে আমাদের সেন্সের মুক্তিযোদ্ধা বলছি না। হয়তো তারা তাদের রাজনীতির দৃস্টিকোন থেকে কোন যোদ্ধা হবেন। বা এটাও বলছি না বর্তমান সরকারপ্রধান ইয়াহিয়া খানের বাংলাদেশী সংষ্করণ। অথবা ইয়াহিয়া খানের প্রেতাত্মা তার ওপর এসে ভড় করেছে! কথা হচ্ছে জামাত শিবির একটা রাজনৈতিক শক্তি, আমি পছন্দ করি না করি তারা একটি রাজনৈতিক মতবাদের প্রচারক। এই মতবাদ বা এর প্রচারকদেরকে নির্মূল বা ধ্বংশ করার পথ পদ্ধতি কি জোরজবরদস্তি হত্যা জবাই ফাঁসি? ইয়াহিয়া খান তার প্রতিপকে হত্যা জবাই ফাঁসির মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, আমরা নিশ্চিহ্ন হই নাই, ইয়াহিয়াই ধ্বংশ হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় কথা- এই হত্যা করো জবাই করো রবে নিরন্তর মাতম, পিটুনী গুলী হত্যাকান্ড আসলে জামাত শিবিরকে লাভবান করে দিচ্ছে। আমরা বাঙ্গালীরা খুবই সেন্সেটিভ বিশেস করে অত্যাচারিত পীড়িতদের প্রতি সব সময় আমাদের একটা সহানুভূতি কাজ করে। সরকারের নির্মম দমন পীড়নের শিকার জামাত শিবিরও তেমনি আজ সাধারন মানুষের সহানুভূতি লাভ করে চলেছে।
যখনই বোঝা গেছে ভারতের স্বার্থে জামাত শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে মানুষ জামাত শিবিরের প্রতি অধিক মাত্রায় সহানুভূতিশীল হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ এমনও মনে করছে সরকার ভারতের ধামাধরা, আমাদের ওপর ভারতের দাদাগিরী লুন্ঠন শোষনের প্রতিবাদ করার কেউ নাই। এ অবস্থায় ভারত যখন জামাত শিবিরকে ধ্বংশ করতে চাইছে তার অর্থ এরাই হচ্ছে আসল ভারতবিরোধী শক্তি। এটা ভুললে চলবে না বাংলাদেশের আশি শতাংশ মানুষ মনেপ্রাণে ভারতের দাদাগিরী লুন্ঠন শোষনের বিরোধী।
খুবই দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে বাংলাদেশে আজ কোন সৎ সাংবাদিকতা নাই। প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিক পরিচয়ে লেখালেখি করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্যডাররা। মিডিয়াগুলো যার যার দলের লিফলেট বা মুখপত্র। সেদিন দেখলাম একটি মতলববাজ পত্রিকায় প্রশ্ন করা হয়েছে, গ্রামাঞ্চলে সাধারন মানুষকে উষ্কে দিচ্ছে কারা? ইঙ্গিতটা জামাত শিবিরের দিকে। পড়ে মনে মনে হাসলাম। মাস দুই ধরে দেখা যাচ্ছে এখানে ওখানে গ্রামের সাধারন মানুষ দলে দলে রাস্তায় নেমে আসছে পুলিশের গুলীর সামনে বুক পেতে দিচ্ছে, থানায় হামলা করছে সরকারি সম্পত্তির ধ্বংশসাধন করছে এমনকি পুলিশ হত্যার মত রিষ্কি কাজ করছে। জামাত শিবিরকে মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছে। এরা ছিল নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।
এরা এক সময় এত মিটিং মিছিল করেছে কখনও পুলিশের প্রতি একটা ঢিল ছুড়তে দেখা যায় নাই। আওয়ামী লীগ বিএনপি রাস্তায় গাড়ী ভাঙতো আগুন দিতো, জামাতের মিছিল যখন পাশ দিয়ে যেতো মানুষ নির্ভয় থাকতে এরা কোন ভাংচুর করবে না। এই জামাতকে সন্ত্রাসী বানিয়েছে সরকার। এরা মিছিল করতে পারেনা মিটিং করতে পারেনা অফিসে থাকতে পারেনা বাসায় ঘুমাতে পারেনা। একটা পোষ্টার লাগাতে পারেনা লিফলেট বিলাতে পারেনা। বের হলেই পিটুনী গ্রেপ্তার মামলা জেল। মানুষ বেপরোয়া হয় কখন? আমাদের সমাজে একটা কথা প্রচলিত আছে, আমি তো মরছিই তোরে মাইরাই মরুম। একতরফা মার খেতে খেতে কেউ যদি ঘুড়ে দাঁড়ায় তাকে কি বলা যাবে? এক শ্রেণীর মিডিয়া পে-রোলের সুশীল বা মানবাধিকারের মিজান ডাক্তারের মত লোকেরা বলবেন জামাত শিবির হলে তান্ডব মষ্কা বা জাগরনওয়ালা হলে তা বিপ্লব বা প্রতিরোধ।
তারপরও-, জামাত শিবির যতই ঘুরে দাঁড়াক তারা কি এতই শক্তিশালী এতই সংগঠিত যে তাদের ‘উষ্কানীতে’ মূহুর্তের মধ্যে হাজার হাজার গ্রামবাসী লাঠি সোটা যার যা আছে নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়বে! এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে আসামী ধরতে গেলেও জনগন পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে! সরকারি প্রেসনোটের ভাষায় এই জনগন হচ্ছে ‘মুষ্ঠিমেয় দূ®কৃতকারি’ বা হাল ভাষায় ‘জামায়াতি তান্ডব’। কিন্তু গত মাসে গন জাগরন সামাল দিতে যে এক শ’ সত্তুরজন মানুষকে গুলী করে হত্যা করতে হলো বিয়াল্লিশটা জেলা থেকে প্রশাসন আপৎকালীন সাহায্য চেয়ে রাজধানীতে ধর্ণা দিলো, সেই পিলে ধরে টান দেয়ার পরিস্থিতিও কি শুধু জামাত শিবিরের লোকেরা সৃস্টি করেছিল?
না, ওদেরকে আমি এতটা শক্তিশালী মনে করিনা। মানুষ যদি সঙ্গে না থাকতো পাবলিক যদি স্বত:ষ্ফূর্তভাবে নেমে না আসতো জামাত শিবির কেন কোন রাজনৈতিক শক্তির প ওই পরিস্থিতি তৈরী করা সম্ভব হতোনা। যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করা হোক- এটাই সত্য এটাই বাস্তব মানুষ আজ বিগড়ে গেছে অধৈর্য্য হয়ে পড়েছে। নেমে পড়ার একটা উপল্য চায়, নেতৃত্ব চায়। এটা বুঝে গেছে জামাত শিবির, নইলে শিবিরের মত একটি ছাত্র সংগঠন দেশব্যাপাী হরতাল ডাকার সাহস পায়! এটা বুঝে গেছেন বেগম জিয়া। ফেব্র“য়ারির একটা ঝলকেই টের পেয়ে গেছেন তাওয়া গড়ম হয়ে গেছে। তিন বছর আগে যখন একতরফভাবে সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাষ’ তুলে দেয়া হলো তখন কোন হুজুরগোষ্ঠী টু শব্দটি করেন নাই। আজ নাস্তিক ব্লগারদের উছিলায় রাস্তায় নেমে আসছেন। তারাও টের পেয়ে গেছেন, এখনই সময়।
দু:খের মধ্যেও হাসি আসে। গোড়া থেকেই আওয়ামী লীগ ধরে বসে আছে সরকারের সকল কর্মকর্তা কর্মচারি পুলিশ বিডিআর আনসার র্যাব পাইক পেয়াদা সবাই তাদের মত আওয়ামী লীগের লোক। এক নেতা এক দেশের মত সবাই নেত্রীর বশংবদ চাকর বাকর। যখন যা হুকুম করা হবে অবনত মস্তকে পালিত হয়ে যাবে। মূর্খামী আর কাকে বলে! এরা সরকারের চাকুরে, সব সরকারের আমলেই এরা আছে। সরকারি চাকরি করলেও এদের ভিন্ন ভিন্ন্ রাজনৈতিক মতাদর্শ আছে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ আছে বিএনপি আছে জামাত আছে এরশাদ পাট্টিও আছে। এতদিন দাপটে চুপ আছে। সময়ে প নেবেনা বা যার যার রুপে আবির্ভূত হবেনা তার কোন গ্যারান্টি আছে! ’৯৬-এ সরকারি চাকুরে মখা আলমগীর কি সচিবালয় থেকে বের হয়ে এসে আওয়ামী লীগের মঞ্চে ওঠেন নাই! কথায় কথায় স্যার স্যার করে, যেতে আসতে স্যাল্যুট দেয়, বন্দুক দিয়ে পাহাড়া দেয়, আহা কি আরাম! মনে হয় এরা তো সবাই আমারই লোক।
আমার ধারনা সরকারের পায়ের তলায় মাটি আর কতটুকু অবশিষ্ট আছে মোটামুটি সবাই আন্দাজ করে ফেলেছেন। এখন দিন যত যাবে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা বাড়বে সন্দেহ অবিশ্বাষ বাড়বে। অনেকের ঘুম হারাম হয়ে যাবে ঘুমের মধ্যে দু:স্বপ্ন দেখে লাফ দিয়ে উঠবেন। দিন দুই আগে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মন্ত্রনালয় ব্যবস্থা নিয়েছে। কেন! সন্দেহ- এরা জামাত শিবিরের লোক বা তাদের সমর্থক। অথচ এই লোকগুলো কিন্তু এক সময় বিশেষ আস্থাভাজন হিসাবেই ওইসব পদে নিয়োগ পেয়েছিল। ঘাদানী নেতা শাহরিয়ার কবির জামাত শিবির আতংকে এতটাই পেরেশান যে দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছেন ট্রাইব্যুনালেও জামাত শিবির ঢুকে গেছে!
শেষ সময়ে এসে এই-ই হয়। ইয়াহিয়া খান শেষমেস এসে দিশা না পেয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছিল। ভারতের আউটলুক পত্রিকা লিখেছে শেখ হাসিনা নাকি বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন। এই শেষ সময়ে এই কাজটা না করলে চলতো না! তত্বাবধায়ক নিয়ে বিএনপি, যুদ্ধাপরাধি নিয়ে জামাত শিবির, ইসলাম নিয়ে হুজুররা- সেই সাথে যদি খোদ সরকারের মধ্যেই বেড়ে চলে অসন্তোষ, কানাহোলায় ধরতে খুব কি বেশী সময় লাগবে?
তবে একটা সিলেকশনে আমি চমকিত হয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে জনাব মখা আলমগীর। ভেবেছি এই সময়ে এসে এই ভদ্রলোককে এই জায়গাটায় আনার কি উদ্দেশ্য। না, মখা সাহেব কাজের লোক না তা আমি বলছি না। খুবই উপযুক্ত লোক। কাদের সিদ্দিকী সাহেব বারবার বলছেন উনি রাজাকার ছিলেন। আসলে রাজাকার না, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে টাঙ্গাইলে এসডিও ছিলেন। সে সময় কর্মরত সকল কর্মকর্তাকে সরকারের স্বার্থ দেখভাল করতে হয়েছে। ’৭১-এ পাক সরকারের স্বার্থ ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতায়। সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে জনাব মখাকেও হয়তো মুক্তিযুদ্ধের বা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করতে হয়েছে। সিদ্দিকী সাহেব সেই অর্থে তাকে রাজাকার বলেন। আসলে জনাব মখা পায়ে ঘাসবিচালি বাঁধা লুঙ্গি কাছামারা বা হাফ প্যান্টপড়–য়া রাজাকার সিপাই ছিলেন না।
আমি ভাবছি মখা সাহেবরা ‘৭১-এ ইয়াহিয়া খান বা তার পাকিস্তানকে রা করতে পারেন নাই, এই ২০১৩তে এসে কি শেখ হাসিনা বা তার সরকারকে রা করতে পারবেন! ষ্টাইল দেখছি তো সেই একাত্তুরেরটাই।
তারপরও বলবো, হুঁশে আসুন। ইয়াহিয়া খানের পথ সর্বনাশা পথ। এখনও সময় আছে কথা বলুন সমঝোতায় আসুন।
১ এপ্রিল, ২০১৩
No comments:
Post a Comment