Tuesday, April 2, 2013

৬ মার্চের লংমার্চে নিউ ইয়র্কের ১৫০ আলেমের সমর্থন




৬ এপ্রিলের লংমার্চে নিউইয়র্কের ১৫০ আলেমের সমর্থন
মুরতাদদের শাস্তি ও ধর্মদ্রোহীদের রুখতে
 কঠিন আইন প্রণয়ন দাবি

নিউ ইয়র্ক : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি পীরে কামেল আল্লামা শাহ আহমদ শফী ঘোষিত ৬ এপ্রিলের লংমার্চে  সমর্থন জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের ১৫০ জন ইমাম, ওলামা ও মুফতি। এছাড়াও তারা হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। মুরতাদদের শাস্তি ও ধর্মদ্রোহীদের রুখতে কঠোর আইন প্রনয়ণ দাবী জানিয়েছে আলেমরা। এক যৌথ বিবৃতিতে নিউ ইয়র্কের আলেমরা বলেছেন, আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃ) এর অবমাননাকারী মুরতাদদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে কঠোর আইন প্রনয়ণ করে ধর্ম ও ইসলামের বিরুদ্ধে সকল প্রদক্ষেপ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। 
তারা বলেন, সরকার মুখে ইসলামের কথা বললেও কাজ কর্মে ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সরকার আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনী দিয়ে নাস্তিক মুরতাদদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। অন্যদিকে ইসলাম প্রিয় মানুষকে হত্যা করছে সরকারী বাহিনী। 
তারা বলেন, বাংলাদেশে কোন মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নেই। দাড়ি, টুপি বা ধর্মীয় পোষাক নিয়ে নিরাপদে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বতর্মান সময়ে ধর্ম প্রমাণ মুসলমানরা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তেও ভয় পাচ্ছেন। 
তারা বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) কে অবমাননাকারী মুল হোতাদের বাদ দিয়ে সরকার গুটিকয়েক ব্লগারকে সামনের দরজা দিয়ে ধরে পেছনের দরজা দিয়ে বের করে দিয়ে সরকার আইওয়াশ করার চেষ্টা করছে। মুল হোতাদের কয়েকজন টিভি টক শো করে বেড়ালেও সরকার তাদের গ্রেফতার করছেনা। 
তারা আরো বলেন, ইসলাম ও রাসূল (সাঃ) কে অবমাননার সঙ্গে জড়িত ব্লগাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো সামহোয়ারইন ও আমার ব্লগসহ সব ব্লগ বন্ধ এবং ব্লগ পরিচালকদের গ্রেফতার করতে হবে।  
তারা বলেন, ইসলাম প্রিয় মানুষের কন্ঠসর দৈনিক আমার দেশসহ যেসব পত্রিকা নাস্তিক ব্লগারদের কুকীর্তি ফাঁস করেছে নানা অজুহাতে সেগুলো বন্ধের ষড়যন্ত্র করছে। ইসলাম প্রিয় মানুষের কোন পত্রিকা বন্ধ হলে নিউ ইয়র্ক থেকে কঠিন আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।
তারা আরো বলেন, দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলিম আল্লামা আহমদ শফী সম্পর্কে বাজে মন্তব্য ও হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সরকারের উচিত, তাদের প্রশ্রয় না দিয়ে কঠোর হস্তে দমন করা। অন্যথায় সরকারকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে। 
আলেমরা বলেন, শাহবাগী নাস্তিকরা ধর্ম ও নবীর সা অবমাননা করে আলিম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সংঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে সরকারকেও বেকায়দায় ফেলার চক্রান্ত করছে। তাই অবিলম্বে নাস্তিক মুরতাদদের দমন করা জরুরি। 
ইসলাম ও রাসূল (সাঃ) সম্পর্কে গণমাধ্যমকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানিয়ে তারা বলেন, মুরতাদদের বিরুদ্ধে চলমান ইসলাম প্রিয় মানুষের আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য বিভিন্ন মিডিয়া রাজনৈতিক কালার দেয়ার চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীও হেফাজতে ইসলামের চলমান আন্দোলন ও আলেমদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে চলেছেন। ইসলাম প্রিয় মানুষের আন্দোলনের বিরুদ্ধে এসব প্রচারণা বন্ধে সরকার ও গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান তারা। 
মুরতাদদের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে গুলি করে হত্যার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীরকে গণহত্যার নির্দেশদাতা উল্লেখ করে তারা বলেন, খুনী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপসারণ করে দেশের মানুষকে নির্যাতনের হাত থেকে বাচাঁন। এছাড়াও পাঠ্য পুস্তকে ইসলাম ও কুরানকে বিকৃতির জন্য শিক্ষামন্ত্রীর অপসারণ দাবী করেন আলেমরা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন, বায়তুল জান্না মসজিদের ইমাম প্রফেসর মাওলানা মুহিববুর রহমান, সানিসাইড মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল কাদের, বেলাল মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল মালেক, বায়তুল হামিদ ইনেস্টিটিউশনের সভাপতি মুফতি জামাল উদ্দিন, আবু হুরায়রা মসজিদের ইমাম মাওলানা ফায়েক উদ্দিন, আসসফা ইসলামিক সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক মুফতি লুৎফুর রহমান ক্বাসিমী, বায়তুস শারাফ মসজিদের ইমাম জাকারিয়া মাহমুদ, আসসাফা ইসলামিক সেন্টারের ইমাম মাওলানা রফিক আহমেদ, মদীনা মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু সুফিয়ান, দারুল কোরান ওয়া’সুন্নাহ প্রিন্সিপাল মুফতি রুহুল আমিন, আল আমান হাফিজুল্লাহ, বায়তুল আমান মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিরুদ্দিন, হাজী ক্যাম্প মসজিদের ইমাম মাওলানা রফিকুল ইসলাম, জ্যাকসন হাইটস ইসলামিক সেন্টারের ইমাম মুফতি ইসমাঈল, বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল্লাহ কামাল, জ্যমাকা হাফিজিয়া মাদরাসার  হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম,  মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, মাওলানা আব্দুর রহমান, হাফিজ আব্দুল্লাহ আল কাফি, হাফেজ শফিকুল ইসলাম, মাওলানা আবু সায়ীদ, মাওলানা ওবায়দুল হক, হাফিজ বুরহান উদ্দিন, শাকিল রহমান, জুলফিকুল চৌধুরী, হাফিজ আব্দুল মতিন, মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম, মাওলানা আসাদ, হাফেজ মাহবুব, মাওলানা আহমদুল্লাহ কামাল, হাফিজ আব্দুল মান্নান, ক্বারী খলিলুর রহমান, হাফিজ মাহবুবুর রহমান, মাওলানা ইলিয়াস, মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা মতিউর রহমান, মুফতি নোমান, মাওলানা রুহুল্লাহ,মাওলানা জুনায়েদ হোসাইন, মাওলানা রশিদ আহমেদ, মাওলানা ইহতেশামুল হক, মাওলানা আবু তৈয়ব, মাওলানা আশরাফ উল্লাহ প্রমুখ।  

No comments:

Post a Comment