৭১’র মুক্তিযুদ্ধের মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযোগে বিচারের সমুখ্খীন মাওলানা সাঈদীর মামলায় রায় বৃহস্পতিবার ঘোষণা হবে। এ রায় নিয়ে গোটা বাংলাদেশে থমে থমে অবস্থা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে সাঈদীর মুক্তির দাবী ও ট্রাইবুনাল ভেঙ্গে দেয়ার দাবী জানিয়ে রায়ের দিন (বৃহস্পতিবার) হরতাল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম। অপরদিকে সরকারও সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে।
মাওলানা আবুল কালাম ও আব্দুল কাদের মোল্রার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এদের একজনের ফাসিঁ আর অপর জনের যাবজ্বীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তবে কাদের কাদের মোল্লার যাবজ্বীবন নিয়ে সরকার পক্ষ অখুশী। এ রায় নিয়ে সরকার আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মাওলানা সাঈদী রায় সবচেয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । এ রায়টি আরো আগে হওয়ার কথা ছিলো। বিচারপতি নিজামুল ইসলামের স্কাইপ কেলেংকারী ফাস হয়ে যাওয়ার কারণে মূলত বিলম্ব হয়ে যায়। অন্যথায় ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এ রায়ের জন্য সরকার পক্ষ প্রস্তুত ছিলো বলে স্কাইপ কেলেংকারী থেকে জানা যায়। স্কাইপ কেলেংকারীর কারণে বিচারপতি নিজামুল হক ট্রাইবুনাল থেকে পদত্যাগ করেন। পরে নতুন বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে বিচার কার্য সম্পাদন করে বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ঠিক করে ট্রাইবুনাল।
এ রায়ে মাওলানা সাঈদীর ভাগ্যে কি আছে ? ফাসিঁ না ন যাবজ্বীবন ? না আরো লঘু দন্ড? সরকার পক্ষ বলছে, সাঈদী বিপক্ষে ১৯ টি অভিযোগের সবকটিই তারা প্রমাণ করতে পেরেছেন।
অপরদিকে সাঈদীর আইনজীরা বলছেন, একটি অপরাধও সঠিকভাবে প্রমাণ দিতে পারেনি রাষ্ট্র পক্ষ।
যদি সরকার পক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী যাবত জীবন বা সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যদন্ড দেয় তাহলে দেশে কি অবস্থা হবে? জামায়াত শিবির কি করবে?
মূলত মাওলানা সাঈদী কোরানের তাফসীরকারক হিসেবে বিশ্বে খ্যাতীমান ব্যক্তি। তিনি সব দল মত নির্বিশেষে শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। তার ভক্ত আওয়ামী লীগের মধ্যেও রয়েছে। সরকার দলের অনেকে মনে করেন, সাঈদী নিরাপরাধ। এমনই একজন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন) বলেন, আমাদের নেত্রী বেশি রাজনীতি করেছেন। সব বিষয়ে রাজনীতি করা ভালো না। মাওলানা সাঈদীকে শুধু শুধু মামলায় জড়িয়েছে। এখন আবার শাহবাগের আন্দোলন করে দেশের মানুষের হাসির পাত্র হচ্ছেন।
অন্যদিকে বিএনপির মধ্যেও সাঈদীর ভক্ত রয়েছেন। তারাও সাঈদীকে নিরাপরাধ মনে করেন। আবার জামায়াত শিবির, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও নির্দলীয় লোকদের মধ্যে সাঈদীর গ্রহণযোগ্যৎতা রয়েছে। সবমিলিয়ে মাওলানা সাঈদীর রায় বিপক্ষে গেলে বাংলাদেশে চরম বিশৃংখলা হতে পারে, এটা স্পষ্ট। শাহবাগের আন্দোলন দিয়েও সরকার কি সাঈদী ভক্তদের মোকাবেলা করতে পারবে কিনা সেটা সময় বলে দিবে। তারপরও আমরা সবাই আশা করি মাওলানা সাঈদীর আল্লাহর কাছে সঠিক রায় পাবেন।
লেখক : মুহাম্মদ সবুজ
সাঈদী ভক্তদের ঈমানী পরীক্ষা
ReplyDeleteসাঈদীর বিরুদ্ধে কোন অন্যায় রায় হলে দেশে বড় ধরণের সংঘাত বেধেঁ যেতে পারে।
ReplyDeletewe ll never tolerate any injustice against sayedee.
ReplyDelete