Thursday, May 9, 2013

গণহত্যার বিচারে জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট স্মারকলিপি ও বিক্ষোভ সমাবেশ





হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের গণহত্যার
বিচারে জাতিসংঘ মহাসচিবের নিকট
স্মারকলিপি ও বিক্ষোভ সমাবেশ


নিউ ইয়র্ক: ঢাকার মতিঝিল শাফলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতে গণহত্যার বিচার দাবীতে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কোয়ালিশন অফ বাংলাদেশী আমেরিকানস এসোসিয়েশন। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি বন্ধের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। 




৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ শেষে গণহত্যার তদন্ত ও বিচার দাবীতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হয়। 



বিক্ষোভ সমাবেশে আব্দুল্লাহ আল আরিফের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আউওয়াল, মাওলানা জাকারিয়া মাহমুদ, আসসফা মুসলিম সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতী লুৎফুর রহমান ক্বাসিমী, সাংবাদিক শহিদুল্লাহ কায়সার, এডভোকেট আবুল হাসেম ও মাওলানা রশিদ আহমদ। সমাবেশ পরিচালনা করেন মাহবুবুর রহমান।  



সমাবেশে বক্তারা বলেন, আলেম উলামা ও ধর্মপ্রমাণ সাধারণ মুসলমানদের গণহত্যার মাধ্যমে সরকার প্রমাণ করেছে দেশ থেকে ইসলামের নাম নিশানা মুছে দিতে চায় সরকার। গভীর রাতে যখন হেফাজতে ইসলামের ঘুমন্ত ও জিকিররত নেতাকর্মীদের উপর সরকার এ নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।  





বক্তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতার সাড়ে চার বছরে পিলখানায় ৫৭ জন সেনা অফিসারসহ ৩ টি গণহত্যার মাধ্যমে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। এসব গণহত্যা তদন্তের মাধ্যমে বিচার করার জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান বক্তারা। 





বক্তারা অভিযোগ করেন, গণহত্যাকে আড়াল করার জন্য দিগন্ত, ইসলামিক টিভি ও আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। অন্যদিকে মতিঝিল গণহত্যার ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার সমর্থিত মিডিয়াগুলো হেফাজতে ইসলাম নিয়ে কোরান পোড়ানো ও লুটপাটের মতো নির্লিপ্ত মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। 
বক্তারা আরো বলেন, সরকার গণজাগরণ মঞ্চ নামে শাহবাগে মাসের পর মাস নাস্তিকদের লালন পালন করলো, আর মতিঝিলে নবী প্রেমিক আলেমদের এক রাতও সুযোগ না দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।  
বক্তারা বলেন, শাফলা চত্বরে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে প্রমাণ করেছে যুদ্ধাপরাধের বিচারে নামে বাংলাদেশ থেকে ইসলামের নাম নেশানা মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। 
তারা আরো বলেন, শাহাবাগে ৩ মাস সরকারী সহযোগিতায় নাস্তিকরা তথকথিত গণজাগরণ মঞ্চের নামে গান বাজনা করেছিল, তখন জনগণের সমস্যা হয়নি। অথচ শাফলা 
চত্বরে আলেম উলামাদের একরাতও থাকতে না দিয়ে ইতিহাসের জগন্যতম হত্যযজ্ঞ চালিয়েছে সরকার। এভাবে একটার পর একটা গণহত্যার ঘটনা ইতিহাস থেকে আওয়ামী লীগকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে। 



প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য বক্তারা বলেন, গণহত্যা বন্ধ করে সময় থাকতে রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থতা স্বীকার করে মন্ত্রী সভা নিয়ে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় দেশের জনগণ ক্ষমতা থেকে আপনাদের টেনেহেচড়ে নামাবে। 



No comments:

Post a Comment