Friday, May 10, 2013


কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়ের প্রতিবাদে নিউ ইর্য়কে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ 
   

নিউ ইর্য়ক, ৯ মে: মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ের আদেশ প্রত্যাখ্যান করে নিউইর্য়কে মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ‘কোয়ালিশন অফ বাংলাদেশ আমেরিকানস এসোসিয়েশন’(কোব্বা)। 

৯ মে বৃহস্পতিবার নিউইর্য়কের ব্রুকলীন ম্যাকডোনাল্ড ও চার্চ এভিনিউতে  অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ মিছিলটি প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় গ্রীন হাউজ রেষ্টুরেন্টে সমাবেশ করে সংগঠনটি।  
বক্তারা আরো বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যার ওপর এই মামলাটির রায় দিয়েছেন আদালত। ১৯৭১ সালে কামারুজ্জামান ছিল একজন তরুণ। নুরেমবার্গ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত যুদ্ধপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের যত বিচার হয়েছে তার কোথাও এরকম একজন তরুণকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। একারণে কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ফাসিঁর আদেশ পর্যালোচনা করলে সহজেই বুঝা যায় আদালত সরকারের ফরমায়েশী রায় দিয়েছেন।
তারা বলেন, প্রসিকিউশন পক্ষের ১৮ জন সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি দেয়া  হলেও আসামীপক্ষের সাক্ষী সংখ্যা পাঁচজনে বেঁধে দেয়া হয়। অন্যদিকে প্রসিকিউশনের অনেক সাক্ষী ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ হয়েছে। এই ধরণের বিতর্কিত রায় দিয়ে আদালতের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংশ করে দেয়া হচ্ছে। সরকার দেশের মানুষ ও বিচার বিভাগকে দীর্ঘস্থায়ী সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। 
বক্তারা বলেন, তদন্তকারী সংস্থা ও প্রসিকিউশনের যোগসাজশে যে মিথ্যা কল্পকাহিনী রচিত হয়েছে  আর সেখানে ট্রাইব্যুনালের বিচারকেরা সেখানে হার মানিয়েছেন। 
তারা আরো বলেন, স্কাইপ কেলেংকারীর মাধ্যমে ট্রাইবুনালে চলা প্রহসনের বিচার জাতির সামনে পরিষ্কার হয়ে গেছে। এর মাধ্যমে ট্রাইবুনালের প্রধান বিচারকের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। ট্রাইবুনালে বিচারের নামে চলা প্রহসন দেখে বিশ্বব্যাপী এর গ্রহণযোগ্যতা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। স্কাইপ কেলেংকারীর মাধ্যমে জণগনের কাছে প্রমাণ হয়েগেছে, জামায়াত নেতা কাদের মোল্লা, মাওলানা সাঈদী ও কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় সাজানো। বাংলাদেশ থেকে ইসলাম ধর্ম ও ইসলামি চিন্তাবিদদের হত্যা করার জন্য যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে তথাকথিত মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার গঠিত ট্রাইবুনাল গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। 
বক্তারা কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় বাতিল করে তাকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ আবু সামীহাহ সিরাজুল ইসলাম, অর্থনীতিবিদ ড. শওকত আলী, প্রগ্রেসিভ ফোরামের উপদেষ্টা অধ্যাপক কাজী মুহাম্মদ ইসমাঈল, কমিউনিটি এক্টিভিষ্ট প্রগ্রেসিভ ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, ব্যাবসায়ী আমিনুর রসুল জামশেদ, রাজনীতিবিদ ইলিয়াস আহমেদ মাষ্টার, হেলাল উদ্দিন, আবুল হাশেম শাহাদাৎ, রফিকুল মাওলা, ওলামা ফেডারেশনের নেতা মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, মাওলানা সিহাবুদ্দিন, মাওলানা নায়েব আলী, মাওলানা দিদারুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাইফুল্লাহ বেলাল। শুরতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা জুনায়েদ আহমেদ।

No comments:

Post a Comment